পুরুষরোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ

পুরুষদের যাবতীয় যৌন সমস্যা গুলির মধ্যে প্রধান হল ধ্বজভঙ্গ লিঙ্গের শিথিলতা শীঘ্রপতন ধাতু পাতলা স্বপ্নদোষ ইত্যাদি ।এই সমস্ত রোগের জন্য খুবই কার্যকরি আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।পুরুষত্বহীনতার হোমিও চিকিৎসা ক্ষেত্রে যদি রুগী ধৈর্য ধরে কম করে তিন মাস বেশী হলে ৬মাস লক্ষণ কারণ জেনে ঔষধ খায় তাহলে রুগি যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।এর জন্য একটি অভিজ্ঞ বায়োকেমিক ও হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেয়া উত্তম।তিনি রোগের কারণ লক্ষণ যাচায় করে উপযুক্ত হোমিওপ্যাথি বায়োকেমিক ঔষধ দিয়ে বিধি নিষেধ জানিয়ে রুগীকে সুস্থ করতে সক্ষম হবেন।

পুরুষত্বহীনতার হোমিও চিকিৎসাঃ

পুরুষদের যে সমস্ত যৌন সমস্যা রয়েছে সেগুলি যদি অনেক ক্রনিক হয়ে যায় তখন রুগীর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে যায় তাদের মধ্যে পুরুষত্বহীনতা লক্ষ্য করা যায়। তখন পুরুষদের যৌন উত্তেজনা আসতে চাই না ।যৌন উত্তেজনা হলেও লিঙ্গ শক্ত হতে চাই না ধ্বজভঙ্গ লিঙ্গের শীথিলতা লক্ষ্য করা যায়।আর তখন পুরুষত্বহীনতার হোমিও চিকিৎসা প্রয়োজন পরে । আর এই চিকিৎসাতে রুগীর কারণ লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা হলে রুগী খুবই তারাতারি যৌন জীবন উপভোগ করে।আর এ ক্ষেত্রে অর্থাৎ পুরুষত্বহীনতার হোমিও চিকিৎসার ক্ষেত্রে হোমিও কম্বিনেশন ঔষধ Dr Reckeweg Germany R41 homeopathy Medicine টি খুবই কার্যকরী।

শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধঃ

পুরুষদের সংসার জীবনে যৌন জীবনে অশান্তি আশার যে কারণ বা রোগ গুলি তার মধ্যে অন্যতম একটি রোগ হলো শীঘ্রপতন ।এই শীর্ঘ্রপতন হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় তা হলো যৌন উত্তেজনা আসলেই বীর্যপাত হয়ে যায়,স্ত্রী আদর করলেই বীর্যপাত হয়ে যায়,লিঙ্গ প্রবেশ করার আগেই বীর্যপাত হয়ে যায় অথবা লিঙ্গ প্রবেশ করার কিছু মহুর্তেই কয়েক সেকেন্ডেই কয়েক মিনিটেই বীর্যপাত হয়ে যায়। এতে স্ত্রী অতৃপ্ত অবস্থায় থেকে যায়।এর ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা দিন দিন কমে যায়।এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ঔষধ খুবই উপাকারী।শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলির মধ্যে কম্বিনেশন বা কমপ্লেক্স হোমিও ঔষধ গুলো বেশী কাজ দেই,কেননা যৌন দূর্বলতার যে সমস্ত কারণ ও লক্ষণ রয়েছে সেই কারণ ও লক্ষণ গুলো যাচায় করে কি কি ঔষধের সাথে এই লক্ষণ গুলো মিলছে সেই ঔষধ গুলো কম্বিনেশন করে দেয়া হয়।আর এই কম্বিনেশন ঔষধ গুলোর মধ্যে শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ হলো R41 হোমিওপ্যাথি ঔষধ ।

ডাঃ রেকওয়েগ R41 হোমিপ্যাথি ঔষধঃ

স্নায়বিক যৌন দুর্বলতার ড্রপস ।এটি পুরুষদের যে সমস্ত যৌন দূর্বলতা রয়েছে যেমনঃ শীঘ্রপতন,লিঙ্গের শিথিলতা,ধ্বজভঙ্গ,স্বপ্নদোষ,ধাতু দূর্বলতা,ধাতু পাতলা ইত্যাদির ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।

উপাদানঃ কি কি হোমিও ঔষধ মেশানো আছেঃ

অ্যাসিড ফসফরিক D12,এ্যাগনাস ক্যাস্টাস D8, চায়না D12, কোনিয়াম D30, ডেমিয়ানা D6, সিপিয়া D30, টেস্টিস D12, ফসফরাস D6.

লক্ষণঃ যে সমস্ত রোগ লক্ষণে এই ঔষধ খাবেনঃ

যৌন দুর্বলতা, ধাতু দৌর্বল্য, সাধারণ দুর্বলতা বিশেষতঃ পুরুষদের ক্ষেত্রে। বার্ধক্য জণিত দুর্বলতা ওবিভিন্ন প্রকার সমস্যা।অধিকশারীরিক পরিশ্রম,অত্যাধিকউত্তেজনা, স্নায়বিকক্লান্তি।

কার্যপ্রণালীঃ R41 হোমিও ঔষধ যে সমস্ত কাজ করেঃ

বিভিন্ন কারণে শরীরের কলাকোষ জীর্ণ হয়ে ওঠে।ক্রমাগত জলের রেয়ারিফিকেশান ও কোষের দহনের ফলে এ্যালবুমিন গঠিত অণুর মধ্যে গােলাকার বৃত্ত তৈরি হতে থাকে। এইসব এ্যালবুমিন গঠিত অণুগুলির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য কোষের বিষরােধক ক্রিয়াও হ্রাস পায়। ফলস্বরূপ বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক পদার্থ কলাকোষে জমা হয়। হােমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দ্বারাই কলাকোষের এই বিষরােধক প্রক্রিয়া উদ্দীপিত হয় এবং জমে থাকা অধিবিষ নিষ্ক্রিয় করে শরীরের বাইরে প্রেরিত হয়।বিভিন্ন প্রকার তন্ত্রকে, বিশেষ করে যৌন গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করার জন্য বিশেষ কিছু ঔষধ দ্বারা R41 প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি সর্বজন বিদিত সত্য যে বীর্যগ্রন্থির সঠিক ক্রিয়াই প্রত্যেক ব্যক্তিসত্ত্বার জীবনীশক্তিকে প্রভাবিত করে। নিম্নলিখিত লক্ষণ অনুযায়ী অন্যান্য উপসর্গেও ব্যবহৃত হয়।

অ্যাসিড ফসঃ পুরুষত্বহীনতা এবং কর্মশক্তি হ্রাসে টনিকের মত কাজ করে। অ্যাগনাস ক্যাস্টাস পুরুষত্বহীনতা এবং কর্মশক্তি হ্রাসে নির্দিষ্ট ভাবে কার্যকর। যৌনজীবন উচ্চকার্যক্ষমতা সম্পন্ন করে তােলে। চায়না : অধিক বীর্যক্ষরণ বা বার্ধক্য জণিত কারণে সৃষ্টি অসুস্থতায় পুরুষত্ব কমে গেলে নির্দিষ্টভাবে ক্রিয়া করে।

কোনিয়ামঃ রেগে যায়, জ্বালাতন অনুভব করে, মনঃসংযােগের অভাব। যৌন কারণে এবং বার্ধক্য জণিত দুর্বলতা থেকে উন্মাদনা।

ডেমিয়ানাঃ যৌনাঙ্গশক্তিশালী করে।

সিপিয়াঃ কলাকোষের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, ক্লান্তি নেমে আসে, যৌনক্রিয়ায় ভীষণভাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করে।

টেস্টিসঃজীব-ভেষজ দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী এটি একটি উপাদান এবং উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে।

মাত্রাঃ

সাধারণত ১৫ ফোটা করে কিছুটা জলে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার করে খাবার আগে খেতে হয়। দীর্ঘস্থায়ী এবংদ্রুত ফলাফলের জন্য ১০-১৫ ফোঁটাকরে প্রথম ২-৩ দিন ১-২ ঘন্টা পরপর দেওয়া হয়।ঔষধটি ৩ থেকে ৬ মাস খেতে হয় অবস্থা অনুযায়ী।

online কিনতে ক্লিক করুনঃ