আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ

আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে আমাদের দেহ বা শরীর। আর এই শরীরকে আমরা ঠিকমতো যত্ন না নিয়ে আমরা একে অসুস্থ করে তুলি। আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে বিভিন্ন ধরনের রোগ তার ফলে আমাদের আয়ু মৃত্যুর দিকে খুব তাড়াতাড়ি অগ্রসর হই। আমাদের এই অসুস্থ হয়ে পড়া বা আমাদের শরীর রোগে পরিপূর্ণ হওয়ার যে কারণ তা হচ্ছে আমাদের প্রকৃতিকে ভুলে যাওয়া। অর্থাৎ প্রকৃতি থেকে আমাদের দূরে চলে যাওয়া। প্রকৃতির বিপরীত ব্যবহার। আধুনিক লাইফ স্টাইলে জীবন যাপন করা। কৃত্তিম সব কিছু ব্যবহার। উন্নত জীবনযাপন করার লক্ষ্যে আমাদের প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাওয়া, আরাম-আয়েশে জীবন-যাপন করা ঠিকমতো পরিশ্রম না কর, বিশুদ্ধ জল বিশুদ্ধ খাবার না খাওয়া, ঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া,ইত্যাদি ভাবে জীবন যাপন করা আমাদেরকে অসুস্থ করে তোলে আমাদের শরীরে বান্ধে রোগের বাসা।

সুস্থ আর রোগমুক্ত জীবন

সুস্থ আর রোগমুক্ত জীবন বাঁচতে কে না চায়। এই সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচতে কেনা চাই দীর্ঘদিন। কিন্তু হয়ে ওঠে না নিজেদের অলসতায় ব্যস্ততায়। অলসতা আরামে বাঁচার আর ব্যাস্ততা অর্থ উপার্জন করে উন্নত জীবন বাঁচার লক্ষ্যে।
যাই হোক, তবুও আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে স্বাস্থ্য রক্ষা করে সুস্থ জীবনযাপন করে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার।

স্বাস্থ্যরক্ষার কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম

এখানে কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম, স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়মের সাধারন জ্ঞানের জন্য দেওয়া হলো। এই নিয়ম গুলি সাধারণত মানুষের পক্ষে অত্যন্ত হিতকর। এইসব নিয়মগুলি স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে সবার মেনে চলা উচিত।
১. সকালে ঘুম থেকে উঠে কুলি করে এক গ্লাস টাটকা জল পান করবেন। এতে দেহের সৌন্দর্য বাড়ে এবং মন খুব প্রসন্ন থাকে।
২. রাতে শোবার আগে কোন তামার পাত্রে জল রাখবেন। সকালে শৌচ কার্য করার পূর্বে সে জল খাবেন। এতে পায়খানা পরিষ্কার হয়ে যায়।
৩.পায়খানা করার সময় দাঁত চেপে বসবেন। তাহলে কোনদিন দাঁত নড়বেনা ও কখনো পক্ষাঘাত রোগ হবেনা।
৪. হাত মুখ ধোয়ার সময় মুখে কিছু জল নিয়ে চোখে জলের ঝাপটা দেবেন। তার ফলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়।
৫.আহারের পূর্বে হাত মুখ ধুয়ে নেবেন তাতে জঠরাগ্নির মুখ খুলে যায় এবং খাবারের আগে এক গ্লাস জল খাবেন।
৬.খাবার খাওয়ার সময় জল পান করবেন না। যদি বিশেষ প্রয়োজন পড়ে তবে এক ঢোক জল পান করবেন। খাবারের একঘন্টা পরে জল খাবেন। তার ফলে খাবার সহজে হজম হয়ে যায়।
৭.খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটার দরকার।খাবার খাওয়ার পর বাঁদিকের নাক বন্ধ করে শ্বাস গ্রহণ করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। রাত্রে ঘুমানোর সময় ঘুমানোর আগে জল পান করা উপকারী।
৮. সপ্তাহে কমপক্ষে একবার সরিষার তেল অলিভ অয়েল বা জয়তুনের তেল দিয়ে শরীর মালিশ করা প্রয়োজন এতে চিন্তা কমে যায় শরীর সুডোল হয়।
৯. খাবার খাওয়ার পর যদি প্রসাব করে নেয় তাহলে ধাতু দুর্বলতার রোগ হয় না। স্বপ্নদোষের হাত থেকে শীঘ্রপতন অন্যান্য ধাতু দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১০. রাত্রে খাবার খাওয়ার তিন ঘন্টা পরে স্ত্রী সহবাস করবেন। তার আগে স্ত্রী সহবাস করলে পেটের নানা রকম রোগ জন্মায়।
১১. সহবাসের পর স্ত্রীলোক কখনো বাচ্চাকে স্তন পান করাবেন না। তার ফলে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
১২. সুগার ডায়াবেটিস বহুমূত্র রোগে যদি সকাল-সন্ধ্যা কিছুক্ষণ দৌড়ায় তাহলে বিনা ঔষধে প্রসাবে শর্করা আসা বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলে তার রোগ অনেকটা ভালো হয়ে যায়।
১৩. যদি কোন ব্যক্তি বেশি মদ খেয়ে ফেলে একটি কাগজি লেবুর রস খাওয়ালে নেশা কমে যায় লেবুর রসে বেশি মদ ও আফিমের বিষক্রিয়া নষ্ট হয়।
১৪.যদি কোন ব্যক্তি বেশি সিদ্ধি খেয়ে ফেলে তাহলে অড়হড় ডাল সেদ্ধ করে খাওয়ালে সিদ্দির নেশা কম হয়।
১৫. যদি আপনি বেশি আম খেয়ে ফেলেন তাহলে চার-পাঁচটি জাম খাবেন তাতে ক্ষতি হবে না। আবার বেশি জাম খেলে দু তিন টুকরো আম খেলে উপকার হবে ।

এই সমস্ত নিয়ম গুলি যদি আপনি পালন করেন তো আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।