বায়োকেমিক 12 টি ঔষধের সংক্ষিপ্ত পরিচয়: বইটি ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://ift.tt/3geLUHZ ডাঃ সুসুলারের আবিষ্কৃত বারোটি বায়োকেমিক মেডিসিন কোন কোন রোগে ব্যবহার করা হয় সে সম্বন্ধে জানতে পারবেন আর 28 টি যে বায়োকম্বিনেশন মেডিসিন রয়েছে বায়োপ্লাসজেন মেডিসিন রয়েছে সেগুলি কোন কোন রোগে ব্যবহার হয় এর ব্যাবহার সম্বন্ধে জানতে পারবেন। বায়োকেমিক ঔষধ গ্রহণ করলে দেহ রোগমুক্ত হয় । এই ঔষধগুলো সাধারণত পাউডার অথবা ট্যাবলেট রূপে পাওয়া যায় । শক্তির মাত্রা 3x,6x,12x ইত্যাদি । ট্যবলেটগুলি সাধারণত ৩/৪টি করে দিনে ৩/৪ বার খেতে হয় । গরম পানিতে গুলে খেলে এর ক্রিয়া ভালভাবে হয় । সম্ভব না হলে চিবিয়েও খাওয়া যায় । আবার এই ১২টি ঔষিই হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে শক্তিকৃত করে হোমিওপ্যাথি মতে (সদৃশ্য বিধান) রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয় । সেক্ষেত্রে শক্তির মাত্রা ৩/৬/৩০/২০০/১০০০/১০,০০০/১০০,০০০ এই রকম । আমরা এই মহা মুল্যবান ১২টি ঔষধের ক্রিয়া আলোচনা করব । ১/ ক্যালকেরিয়া ফ্লোর পরিচয় : ক্যালসিয়াম ফ্লোরাইড,ফ্লোরম্পার । প্রয়োগ ক্ষেত্র – চোখের ছানি, কোমর ব্যথা, মচকা ব্যথা, স্তনে গুটি, দাঁত উঠতে দেরি হওয়া, দাঁতের ক্ষয় ও প্রদাহ, চামড়া ফাটা, সহজেই রক্তপাত, বংশগত সিফিলিস,এ্যাডিনয়েডস । ২/ ক্যালকেরিয়া ফস পরিচয় : ক্যালসিয়াম ফসফেট,ফসফেট অফ লাইম । প্রয়োগ ক্ষেত্র – স্নায়ুর দুর্বলতা, মৃগী, অন্ত্রের প্রদাহ, পরিপোষণ বা মেটাবলিজমের ত্রুটি, দাঁত উঠতে দেরি হওয়া, ক্ষয়রোগ, পায়খানার সাথে অভুক্ত দ্রব্য, পেটে বায়ু । ডায়াবেটিস রোগীদের অস্তিভঙ্গ, মস্তিস্কের অবসাদ, ব্রাইটস ডিজিস, রসযুক্ত চর্মরোগ । ৩/ ক্যালকেরিয়া সালফ পরিচয় : ক্যালসিয়াম সালফেট,জিপসাম, প্লাস্টার অফ প্যারিস । প্রয়োগ ক্ষেত্র – ফোঁড়া, কার্বঙ্কল, পুঁজযুক্ত ব্রণ, পোড়া ঘাঁ, চুলকানি, ফিস্টুলা, গ্রন্থিস্ফীতি, স্নায়বিক দুর্বলতা, জনন ইন্দ্রিয়ের দুর্বলতা, পরিবর্তনশীল মানসিকতা, পায়ের তালুতে জ্বালা-পড়া এবং চুলকানি, অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়ার পর শারীরিক দুর্বলতা । ৪/ ফেরাম ফস পরিচয় : ফেরোসো ফেরিক ফসফেট, ফসফেট অফ আয়রণ । প্রয়োগ ক্ষেত্র – অ্যানিমিয়া, রক্তপাতের ফলে রক্তাল্পতা, নাড়ীর গতি দ্রুত, মাথার যন্ত্রণা, জিভের প্রদাহ, জিভ লেপাকৃত অথবা রক্তাভ, অক্ষুধা, দেহের ওজন এবং শক্তি কমে যাওয়া, শিশুদের মানসিক ও দৈহিক বল হ্রাস, শীর্ণতা, ক্ষুধামান্দ্য । ৫/ ক্যালি মিউর পরিচয় : পটাসিয়াম ক্লোরাইড । প্রয়োগ ক্ষেত্র – হার্টের দুর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হৃদপিণ্ড বৃদ্ধি পাওয়া, পেরিকার্ডাইটিস, থ্রম্বসিস, গ্রন্থ বৃদ্ধি, ফুসফুস প্রদাহ, নিউমোনিয়া, পিত্ত নিঃসরণ কম হওয়ার ফলে অজীর্ণ, অক্ষুধা, গলক